গাংনীতে জামাত শিবিরের দাপট মুুক্তিযোদ্ধার জমি জবরদখল করে বাড়ি নির্মাণ।বাড়ি অবরুদ্ধ
গাংনী :
একজন দেশপ্রেমিক।আব্দুল আজিত। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, রণাঙ্গনের বীর সৈনিক। স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যিনি দেশ মাতৃকা রক্ষায় অকুতোভয় বীর সেনানি হিসাবে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। সেদিনের সেইসব ভয়াল স্মৃতি আজও তাড়িয়ে বেড়াই মুক্তিযোদ্ধা আজিতকে। গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিত উপজেলার সাহারবাটি (বাঙ্গালপাড়া) গ্রামের মৃত সাবেরউদ্দীন বিঃএর ছেলে।
অভাব অনটন আর বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে পড়েছেন আব্দুল আজিত। সংসারে স্ত্রী চার মেয়ে ও এ ছেলে নিয়ে কষ্টের জীবন। ৩ মেয়ের বিয়ে হলেও প্রতিবন্ধী একটি মেয়ে ঘরে বোঝা হয়ে রয়েছে। ছোট মেয়েটা কলেজ পড়–য়া ছাত্রী। একটি ভগ্নাবশেষ ভাঙ্গাবেড়া দিয়ে ঘেরা টিন শেডের পড়ো বাড়ীতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন সেই মুক্তিযোদ্ধা । ছবিতে যে বাড়িটা দেখা যাচ্ছে। এটি গোয়াল ঘর মনে হলেও আসলে তা নয়।
এই ঘরেই কষ্টের জীবন কাটাচ্ছেন সেই ভাগ্যহত মানুষটি।এই কুঁড়ে ঘরেই মানবেতর জীবন যাপন কওে স্বপ্ন আঁকছেন বৃদ্ধ আজিত। মুক্তিযোদ্ধাদের পূণর্বাসনের জন্য সরকা বাহাদুর নানা উন্নয়ন মূখী প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও ১২ হাজার টাকা ভাতা ছাড়া আজো জোটেনি দুর্যোগ সহনীয় ঘর, কোন আর্থিক সহযোগিতা। কখনও কেউ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি।একদিকে ক্রয়কৃত মাত্র আড়াই শতক জমিতে কুঁড়ে ঘরে সাপ ,পোকা মাকড় আর ব্যাঙের সাথে বসবাস। অন্যদিকে প্রতিবেশী স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবিরের জমি জবরদখলকারী চক্রের নিষ্পেষন। সবমিলিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মৃক্তিযোদ্ধা আজিত।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিত অভিযোগ তুলে জানান, অতিকষ্টে স্ত্রী ৫ ছেলেমেয়ে নিয়ে জীবন যাপন করছি।অনেক কষ্টে সামান্য আড়াই শতাংশ জমি ক্রয় করে ভাঙ্গা বেড়া ঘেরা ঘরে বসবাস করছি। প্রতিবেশী ইয়ারুল ও মৃত আলেক চাঁদের স্ত্রী জোরপূর্বক জমির প্রায় ৩/৪ ফুট পরিমাণ জমি জবরদখল করে বাড়ী নির্মাণ করেছে।গত ঈদুল ফিতরের চাঁদ সংঘাতে জড়িয়ে আলেক চাঁদ মারা যায়।
একাধিকবার স্থানীয় ও সরকারী আমিন দ্বারা পরিমাপ করেও সেই দখলকৃত জমি উ্দ্ধার করতে পারিনি । বর্তমানে আমি গৃহবন্দী হয়ে বসবাস করছি। আমার বাড়িটি বর্তমানে অবরুদ্ধ। অসহায় মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় ধর্ণা দিয়েও কোন সুরাহা করতে পারেননি।
সরেজমিনে গেলে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিত ও তার স্ত্রী কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও আমি মানবেতর জীবন যাপন করছি। ভাঙ্গা ঘরে দিনযাপন করলেও ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বর কেউ দেখে না। কোন সরকারী সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ মহোদয়ের সাথে আলাপ করতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।